॥ আবু আহমেদ ॥
স্যারের সরাসরি ছাত্র হইনি আমি কখনো। তিনি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে এলেন, তখন আমি অর্থনীতি বিভাগের বাইরে, আর আমি যখন শিক্ষক হিসেবে অর্থনীতি বিভাগে যোগ দিই তখন তিনি অর্থ বিভাগ ছেড়ে ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে বা আইবিএতে চলে গিয়েছিলেন। আমার জানা মতে, তখন আইবিএ শিক্ষকস্বল্পতায় ভুগছিল। তার যোগদানের মাধ্যমে আইবিএতে সেই শূন্যতা কিছুটা পূরণ হয়। বলা চলে, সত্তর দশকের শুরুতে বা আমাদের স্বাধীনতার অব্যবহিত পর ঢাবি অর্থনীতি বিভাগের জন্য স্বর্ণযুগ ছিল। তখন প্রথিতযশা অনেক অর্থনীতিবিদই এই বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর নুরুল ইসলাম, প্রফেসর রেহমান সোবহান, প্রফেসর আনিসুর রহমান, প্রফেসর এমএন হুদা, প্রফেসর মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। প্রফেসর মোজাফফর যখন আইবিএতে যোগদান করেন, তার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সে ইনস্টিটিউটেরও সোনালি দিন শুরু হয়। তার মতো আদর্শবাদী এবং জ্ঞানে সমৃদ্ধ শিক্ষক ছিলেন বলেই আইবিএ অতি অল্প সময়ের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়। ছাত্র ভর্তি হয় শিক্ষকদের দেখে। অন্তত আইবিএর গ্র্যাজুয়েটদের যে এত সম্মান ও মূল্য ছিল, তার কারণ তারা প্রফেসর মোজাফফর আহমদের মতো শিক্ষাবিদের ছাত্র ছিলেন। আজো লোকে এর গ্র্যাজুয়টদের বেশি কদর করে। এর মূল কারণ হলো, এই ইনস্টিটিউটগুলো তাদের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। অন্তত বাইরের ধারণা এটাই। প্রফেসর মোজাফফর আহমদের বর্ণাঢ্য জীবন ছিল। আসলে প্রতিভাবান লোকেরা এক জায়গায় বসে থাকেন না। তাদের চাহিদা যেমন ব্যাপক, যাকে তেমন এসব লোক নিজের কর্মদক্ষতাকে অন্যত্রও ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি বাংলাদেশের প্ল্যানিং কমিশনেও কাজ করেছেন এবং এর আগে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি শিল্প গড়ার প্রতিষ্ঠান ইপিআইডিসি-তে উঁচু পদে কাজ করেছেন। বলা যেতে পারে, স্বাধীনতাপূর্ব যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়, সেগুলোর পেছনে প্রফেসর মোজাফফরেরও বড় অবদান ছিল। এগুলোর মধ্যে ছিল চট্টগ্রামের স্টিল মিলস, কর্ণফুলী পেপার মিলস ইত্যাদি। একপর্যায়ে তিনি মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় বস্ত্রশিল্প উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন। বলা চলে, মোজাফফর আহমদের মতো লোকদের হাতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো যত দিন ছিল তত দিন ওগুলো ভালোই চলেছিল। এসব শিল্পকারখানা ক্ষয় হতে থাকে পরের দশকে যা আজো অব্যাহত আছে। মোজাফফর স্যার আমেরিকার বিখ্যাত শিকাগো ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছেন। সেই শিকাগো ‘স্কুল’ কিন্তু পুরোপুরি বাজারমুখী একটা স্কুল। অর্থাৎ ধরে নেয়া হয় সেখান থেকে পাস করা ছাত্রদের শিক্ষাগতভাবেই তারা বাজার অর্থনীতির প্রতি দুর্বল থাকবে এবং পাবলিক সেক্টর অর্থাৎ সরকার নিয়ন্ত্রিত ও সরকারের মালিকানাধীন ব্যবসায়-বাণিজ্যের বিরোধিতা করবেন। কিন্তু স্যারের মধ্যে ওই আদর্শিক প্রবণতা দেখিনি। তিনি পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে তো ছিলেন না, বরং ওগুলো সঠিকভাবে চালাতে নানাবিধ কৌশলের কথা বলতেন। অনেক সভা-সেমিনারে আমি স্যারের সাথে বিনয়ের মাধ্যমে দ্বিমত পোষণ করতাম পাবলিক সেক্টরের ভূমিকা নিয়ে। অন্যভাবে যেটা পর্যবেক্ষণ করেছি, সেটা হলো ষাট ও সত্তর দশকের অর্থনীতিবিদদের মধ্যে পাবলিক সেক্টরের প্রতি একধরনের ভক্তি ছিল। হয়তো এমন হবে যে, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন পলিটিক্যাল ইকোনমির দারুণ প্রভাব। তখনো বিশ্বে সমাজতন্ত্র না পুঁজিবাদ বা বাজার অর্থনীতি, এমন একটা বিতর্ক প্রবলভাবে চলছিল। আমাদের দেশের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিদেরাও ওই বিতর্কে প্রভাবিত হয়েছিলেন। একধরনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থার প্রতি তাদের বেশ দুর্বলতা ছিল। তাদের যুক্তি এবং অবস্থান বুঝতে চেষ্টা করেছি এবং বলা চলে, দ্বিমত থাকলেও তাদের যুক্তি বুঝতে সক্ষম হয়েছি। তাদের মধ্যে অনেকে দারিদ্র্যকে হঠানোর জন্য রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বা প্রভাবিত অর্থনীতির পক্ষে ছিলেন। প্রফেসর মোজাফফর আহমদ উন্মুক্ত বাজারের বিপক্ষে ছিলেন। তার যুক্তি ছিল, এমন বাজার শোষকদের হাতে অপব্যবহৃত হয় এবং অনিয়ন্ত্রিত বাজার একচেটিয়া মুনাফার জন্ম দেয়। হ্যাঁ, স্যারের এই তত্ত্ব ভাবনায় আমিও অংশীদার। সে জন্য বাজার অর্থনীতির পক্ষে বলতে গিয়ে সব সময় বলি, বাজার দরকার, তবে বাজার অবশ্যই সুনিয়ন্ত্রিত হতে হবে। দুর্ভাগ্য, আজকে আমাদের এই বাজার অর্থনীতিতে রেগুলেশন বলতে তেমন কিছু নেই। তাই তো দেশে হাজার হাজার কোটি কালো টাকার উৎপাদন হচ্ছে। তাই তো দেশের বিপুল অর্থ বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে। মোজাফফর স্যারের সাথে আইবিএর কক্ষে প্রায় দেখা হতো। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতেন। আমি অনেক কথা শুনতাম এবং তার থেকে অনেক কিছু জেনেছিও। বুঝতাম যে, স্যার কথা ও বিশ্বাসে এক। যেটা বিশ্বাস করতেন সেটাই বলতেন। অবসর নেয়ার পরও স্যার কাজ থেকে দূরে থাকেননি। তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দেশ থেকে দুর্নীতি কিভাবে তাড়ানো যায়। গঠন করলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বা টিআইবি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার। এই টিআইবির মাধ্যমে মানুষ জানল, বাংলাদেশে দুর্নীতি কত গভীরে। মোজাফফর স্যার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোর দিয়ে বলতেন বলে সমাজের কথিত ক্ষমতাধরেরা তাকে প্রতিপক্ষ মনে করতেন। কিন্তু তিনি যা করেছিলেন সেটা এই দেশের মানুষের জন্যই করেছিলেন। আজকে তিনি নেই। আমরা উপলব্ধি করছি বাংলাদেশ দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা জোরালো কণ্ঠস্বর হারাল। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
লেখন : অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
স্যারের সরাসরি ছাত্র হইনি আমি কখনো। তিনি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে এলেন, তখন আমি অর্থনীতি বিভাগের বাইরে, আর আমি যখন শিক্ষক হিসেবে অর্থনীতি বিভাগে যোগ দিই তখন তিনি অর্থ বিভাগ ছেড়ে ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে বা আইবিএতে চলে গিয়েছিলেন। আমার জানা মতে, তখন আইবিএ শিক্ষকস্বল্পতায় ভুগছিল। তার যোগদানের মাধ্যমে আইবিএতে সেই শূন্যতা কিছুটা পূরণ হয়। বলা চলে, সত্তর দশকের শুরুতে বা আমাদের স্বাধীনতার অব্যবহিত পর ঢাবি অর্থনীতি বিভাগের জন্য স্বর্ণযুগ ছিল। তখন প্রথিতযশা অনেক অর্থনীতিবিদই এই বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর নুরুল ইসলাম, প্রফেসর রেহমান সোবহান, প্রফেসর আনিসুর রহমান, প্রফেসর এমএন হুদা, প্রফেসর মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। প্রফেসর মোজাফফর যখন আইবিএতে যোগদান করেন, তার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সে ইনস্টিটিউটেরও সোনালি দিন শুরু হয়। তার মতো আদর্শবাদী এবং জ্ঞানে সমৃদ্ধ শিক্ষক ছিলেন বলেই আইবিএ অতি অল্প সময়ের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়। ছাত্র ভর্তি হয় শিক্ষকদের দেখে। অন্তত আইবিএর গ্র্যাজুয়েটদের যে এত সম্মান ও মূল্য ছিল, তার কারণ তারা প্রফেসর মোজাফফর আহমদের মতো শিক্ষাবিদের ছাত্র ছিলেন। আজো লোকে এর গ্র্যাজুয়টদের বেশি কদর করে। এর মূল কারণ হলো, এই ইনস্টিটিউটগুলো তাদের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। অন্তত বাইরের ধারণা এটাই। প্রফেসর মোজাফফর আহমদের বর্ণাঢ্য জীবন ছিল। আসলে প্রতিভাবান লোকেরা এক জায়গায় বসে থাকেন না। তাদের চাহিদা যেমন ব্যাপক, যাকে তেমন এসব লোক নিজের কর্মদক্ষতাকে অন্যত্রও ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি বাংলাদেশের প্ল্যানিং কমিশনেও কাজ করেছেন এবং এর আগে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি শিল্প গড়ার প্রতিষ্ঠান ইপিআইডিসি-তে উঁচু পদে কাজ করেছেন। বলা যেতে পারে, স্বাধীনতাপূর্ব যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়, সেগুলোর পেছনে প্রফেসর মোজাফফরেরও বড় অবদান ছিল। এগুলোর মধ্যে ছিল চট্টগ্রামের স্টিল মিলস, কর্ণফুলী পেপার মিলস ইত্যাদি। একপর্যায়ে তিনি মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় বস্ত্রশিল্প উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন। বলা চলে, মোজাফফর আহমদের মতো লোকদের হাতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো যত দিন ছিল তত দিন ওগুলো ভালোই চলেছিল। এসব শিল্পকারখানা ক্ষয় হতে থাকে পরের দশকে যা আজো অব্যাহত আছে। মোজাফফর স্যার আমেরিকার বিখ্যাত শিকাগো ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছেন। সেই শিকাগো ‘স্কুল’ কিন্তু পুরোপুরি বাজারমুখী একটা স্কুল। অর্থাৎ ধরে নেয়া হয় সেখান থেকে পাস করা ছাত্রদের শিক্ষাগতভাবেই তারা বাজার অর্থনীতির প্রতি দুর্বল থাকবে এবং পাবলিক সেক্টর অর্থাৎ সরকার নিয়ন্ত্রিত ও সরকারের মালিকানাধীন ব্যবসায়-বাণিজ্যের বিরোধিতা করবেন। কিন্তু স্যারের মধ্যে ওই আদর্শিক প্রবণতা দেখিনি। তিনি পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে তো ছিলেন না, বরং ওগুলো সঠিকভাবে চালাতে নানাবিধ কৌশলের কথা বলতেন। অনেক সভা-সেমিনারে আমি স্যারের সাথে বিনয়ের মাধ্যমে দ্বিমত পোষণ করতাম পাবলিক সেক্টরের ভূমিকা নিয়ে। অন্যভাবে যেটা পর্যবেক্ষণ করেছি, সেটা হলো ষাট ও সত্তর দশকের অর্থনীতিবিদদের মধ্যে পাবলিক সেক্টরের প্রতি একধরনের ভক্তি ছিল। হয়তো এমন হবে যে, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন পলিটিক্যাল ইকোনমির দারুণ প্রভাব। তখনো বিশ্বে সমাজতন্ত্র না পুঁজিবাদ বা বাজার অর্থনীতি, এমন একটা বিতর্ক প্রবলভাবে চলছিল। আমাদের দেশের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিদেরাও ওই বিতর্কে প্রভাবিত হয়েছিলেন। একধরনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থার প্রতি তাদের বেশ দুর্বলতা ছিল। তাদের যুক্তি এবং অবস্থান বুঝতে চেষ্টা করেছি এবং বলা চলে, দ্বিমত থাকলেও তাদের যুক্তি বুঝতে সক্ষম হয়েছি। তাদের মধ্যে অনেকে দারিদ্র্যকে হঠানোর জন্য রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বা প্রভাবিত অর্থনীতির পক্ষে ছিলেন। প্রফেসর মোজাফফর আহমদ উন্মুক্ত বাজারের বিপক্ষে ছিলেন। তার যুক্তি ছিল, এমন বাজার শোষকদের হাতে অপব্যবহৃত হয় এবং অনিয়ন্ত্রিত বাজার একচেটিয়া মুনাফার জন্ম দেয়। হ্যাঁ, স্যারের এই তত্ত্ব ভাবনায় আমিও অংশীদার। সে জন্য বাজার অর্থনীতির পক্ষে বলতে গিয়ে সব সময় বলি, বাজার দরকার, তবে বাজার অবশ্যই সুনিয়ন্ত্রিত হতে হবে। দুর্ভাগ্য, আজকে আমাদের এই বাজার অর্থনীতিতে রেগুলেশন বলতে তেমন কিছু নেই। তাই তো দেশে হাজার হাজার কোটি কালো টাকার উৎপাদন হচ্ছে। তাই তো দেশের বিপুল অর্থ বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে। মোজাফফর স্যারের সাথে আইবিএর কক্ষে প্রায় দেখা হতো। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতেন। আমি অনেক কথা শুনতাম এবং তার থেকে অনেক কিছু জেনেছিও। বুঝতাম যে, স্যার কথা ও বিশ্বাসে এক। যেটা বিশ্বাস করতেন সেটাই বলতেন। অবসর নেয়ার পরও স্যার কাজ থেকে দূরে থাকেননি। তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দেশ থেকে দুর্নীতি কিভাবে তাড়ানো যায়। গঠন করলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বা টিআইবি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার। এই টিআইবির মাধ্যমে মানুষ জানল, বাংলাদেশে দুর্নীতি কত গভীরে। মোজাফফর স্যার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোর দিয়ে বলতেন বলে সমাজের কথিত ক্ষমতাধরেরা তাকে প্রতিপক্ষ মনে করতেন। কিন্তু তিনি যা করেছিলেন সেটা এই দেশের মানুষের জন্যই করেছিলেন। আজকে তিনি নেই। আমরা উপলব্ধি করছি বাংলাদেশ দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা জোরালো কণ্ঠস্বর হারাল। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
লেখন : অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Professor Abu Ahmed is my direct teacher.Many thanks to him for writing on Professor Muzaffar Ahmed
উত্তরমুছুন